IQNA

ভিডিও  | বাংলাদেশের কনিষ্ঠ ক্বারি সুললিত কণ্ঠে সূরা আম্বিয়ার তিলাওয়াত

তেহরান (ইকনা): কনিষ্ঠ ক্বারি হাফেজ নাজমুস সাকিব রোমান সুললিত কণ্ঠে সূরা আম্বিয়ার ৫১ থেক ৫৭ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেছেন।

নাজম আল-সাকিব রোমান যাত্রাবাড়ীর হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার একজন নবীন ছাত্র। এই ক্বারি ছোটবেলায় পবিত্র কুরআন হেফজ করতে শুরু করেন। টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি আমজনতার কাছে বেশ পরিচিত লাভ করেন। এভাবেই তিনি ২০১৩ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থানের অধিকারী হয়ে বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন
 
হাফেজ নাজমুস সাকিব ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মক্কা নগরীর হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থানের অধিকারী হন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ৭০টি দেশের প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাজমুস সাকিব কাবা শরীফের ইমাম আবদুর রহমান আস সুদাইসের হাত থেকে গ্রহণ করেন পুরস্কারস্বরূপ ৮০,০০০ সৌদি রিয়াল, বিশেষ সম্মাননা পদক ও সার্টিফিকেট।
 
এর আগে সাকিব ২০১২ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় এশিয়ার ২৭টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে। সাকিব ২০১৩ সালে এনটিভি-পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায়ও সাকিব প্রথম স্থান অর্জন করে প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে। সাকিবের অর্জন এখানেই শেষ নয়। সে ২০১২ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৯০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। পুরস্কার হিসেবে সাকিব পায় ৪৭ হাজার দিনার।
 
নীচের প্রকাশিত এই ভিডিওয় ক্বারি হাফেজ নাজমুস সাকিব রোমান সূরা আম্বিয়ার ৫১ থেকে ৫৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন।

وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ ﴿۵۱﴾

নিঃসন্দেহে আমরা ইবরাহীমকে এর পূর্বে পূর্ণ বোধশক্তি (ও সঠিক দিকনির্দেশনা) দান করেছিলাম এবং আমরা তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত ছিলাম।


إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ ﴿۵۲﴾

যখন সে তার (পালক) পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বলল, ‘এ মূর্তিগুলো কী যেগুলোর সামনে তোমরা (উপাসনার উদ্দেশ্যে) অবস্থান করছ?’


قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ ﴿۵۳﴾

তারা বলল, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের এভাবে তাদের উপাসনারত পেয়েছি।’


قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ ﴿۵۴﴾

সে বলল, ‘নিঃসন্দেহে তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছ।’


قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنْتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ ﴿۵۵﴾

তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছ, অথবা তুমি ক্রীড়া-কৌতুককারীদের অন্তর্ভুক্ত?’


قَالَ بَلْ رَبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ ﴿۵۶﴾

সে বলল, ‘বরং তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশম-লী ও ভূম-লের প্রতিপালক, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন এবং আমি স্বয়ং এ বিষয়ে সাক্ষ্য দানকারীদের অন্যতম।’


وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ ﴿۵۷﴾

এবং ‘আল্লাহর শপথ, তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যাওয়ার পর তোমাদের মূর্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমি কৌশল অবলম্বন করব।’

captcha